দিলীপ কুমার রায়, কাহারোল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি –
“দেশের একটি পরিবারও ভমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না” বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও মুজিববর্ষে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নে নিরলশভাবে কাজ করে যাচ্ছেন কাহারোল উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় দিনাজপুর জেলার কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৪৬৭টি পরিবার পেয়েছেন ২ শতাংশ জমি ও একটি সেমি পাকা ঘর। সেই সাথে পাচ্ছেন বিদুৎ সংযোগ, সুপ্রিয় পানির ব্যবস্থাসহ সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা। এরই মধ্যেই প্রথম ধাপে ১৩৯টি পরিবার দ্বিতীয় ধাপে ৯০টি তৃতীয় ধাপে ৯৬টি ও চতুর্থ ধাপে ১২০টি ঘর পাচ্ছেন। ঘরের কাজগুলি শেষ হয়েছে অচিরেই হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে।
কাহারোল উপজেলায় বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে উপহারের দৃষ্টিনন্দন ঘরে বসবাস করছে ভ‚মিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের জীবন-মানের এই পরিবর্তন শুরু হয়েছে উপজেলার পশ্চিম সুলতানপুর ভাবরদিঘী আশ্রয়ন প্রকল্পে দেখা গেছে সময়ের সাথে এখন বদলাচ্ছে ছিন্নমূল মানুষের যাপিত জীবন। কবির ঐ ভেন্না পাতার ছাউনি থেকে তারা এখন বসবাস করছে রঙিন টিন আর পাকা দেওয়ালের আধা পাকা বাড়িতে। সেই বাড়িতেই চাষ করছেন শাক-সবজির আবাদ, কেউ বা করছেন হাঁস-মুরগি, ছাগল-গরু পালন। সন্তানদের পাঠাচ্ছে স্কুলে। বসতি দুশ্চিন্তা ছেড়ে নিশ্চিন্ত মনে কাজ করে এগিয়ে নিচ্ছেন তাদের সংসার। সংসারে এসেছে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা।
আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকার ভোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা প্রশসনের সহযোগীতায় কৃষি, মৎস, সেলাই কাজসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষন নিচ্ছে তারা। অনেকে একাডেমি শিক্ষা না থাকলেও নানা প্রশিক্ষনে হয়ে উঠেছেন স্বশিক্ষিত। উপজেলা প্রশসনের নিয়মিত তদারকিতে ক্রমেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়নের নানা দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা। এই সুবিধাটি পেয়ে তারা মহাখুসী।
আশ্রয়ন প্রকল্পের সুফিয়া বেগম জানান, কিছুদিন আগে ভাবিনি নিজেদের ভালো একটা ঠিকানা হবে। এখন এটি হয়েছে বলে বাচ্চাদের স্কুল পাঠাতে পাচ্ছি। নিজের হাঁস মুরগি পালনসহ নানা কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সত্যি এটা স্বপ্নের। এমনটি হবে ভাবিনি কখনো, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করি।
কাহারোল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ রোকনুজ্জামান বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় উপজেলায় হতদরিদ্র যাদের বসবাসের কোনো ঠিকানা ছিলনা তাদের স্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা সত্যি বিষ্মকর। ওই মানুষগুলো তাদের ভাগ্যের চাকা নতুনভাবে ঘুরতে শুরু করেছে।
কাহারোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাইম হাসান খান জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা তাদের জীবন মান উন্নয়নে নিজেরাই এগিয়ে এসেছে। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগীতা করেছি। নির্মান কাজ শেষ হলে ঘরগুলি হস্তান্তর করা হবে।