বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে দেখা দিয়েছে নবান্ন উৎসবের আমেজ। বাংলা সালের অগ্রহায়ণ মাসের ১ম দিন নবান্ন উৎসব। তাই দিনটি পালন করার জন্য কৃষকদের ঘরে ঘরে আনন্দের যেন কোন কমতি নেই। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকলেই পরিবারের মানুষ নিয়ে এই নবান্ন উৎসব করে। যুগযুগ ধরে চলে আসা
আনন্দের এ দিনটি পালনে এবারও কোন ব্যতিক্রম হবে না। ইতিমধ্যে এলাকার কৃষকরা গত কয়েক দিন আগেই আগাম জাতের নতুন ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছেন। পাড়া মহল্লায় গরু, খাসি জবাই করে ভাগাভাগি করে নিয়ে নতুন ধানের চাল দিয়ে পিঠাপুলি পায়েশ-পোলাও এবং নতুন চালের আটা, গুড় ও কলা দিয়ে সিরনি থৈরি করে আত্মীয়স্বজন পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে খাবার ধুম পরে যায় গ্রামে গ্রামে। নবান্ন ছাড়া এই উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার অনেক কৃষক নতুন চালের ভাত খান না। এর মধ্যে যেসব কৃষকের ধান পাকতে দেরি হয় তারা পরে নবান্ন করেন।
আবার অনেকে স্থানীয় মসজিদে পোলাও পায়েশ দেয়ার পর নতুন চালের ভাত খান। উপজেলার নিজপাড়া গ্রামে শাহিনুর রহমান জানান, তার বাড়ীতে ২দিন আগের থেকে আত্মীয় স্বাজন আসতে শুরু করেছে। একই উপজেলার ভাতগাঁও,
ডাবোর, ডহচি ও বিভিন্ন গ্রামে নবান্ন উৎসব চলে ৩- ৪ দিন ধরে। নবান্ন উপলক্ষে শনিবার (১৮ নভেম্বর -২০২৩) পৌরবাজারে বিভিন্ন জিনিসপত্র ক্রয় করতে দেখা গেছে। কৃষক সুজালপুর ইউনিয়নের বোয়ালবারি গ্রামের সতীশ চন্দ্র বর্মন জানান, নবান্ন” শব্দের অর্থ “নতুন অন্ন” বা “নব অন্ন”। নবান্ন উৎসব হল নতুন আমন ধান কাটার পর সেই ধান থেকে প্রস্তুত চালের প্রথম রান্না উপলক্ষে আয়োজিত উৎসব। সাধারণত বাংলা অগ্রহায়ণ মাসে অর্থাৎ হেমন্তকালে আমন ধান পাকার পর এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। কোথাও কোথাও মাঘ মাসেও নবান্ন উদ্যাপনের প্রথা রয়েছে। তিনি আরও জানান, সকাল থেকে পূজা অর্চনা শেষে নতুন ধানের চাল দিয়ে নবান্ন করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে নতুন চালের ভাত খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করা হয়।