মো: রায়হান কবির চপল,বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
বিরামপুর উপজেলার পল্লীতে দিওড় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রুবেল ও তার বাহিনীর হামলায় এক যুবক গুরুত্বর আহত হয়ে ঢাকার একটি হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এঘটনায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে প্রকাশ, ৪নম্বর দিওড় ইউনিয়নের কানিকাটাল (বাগারপাড়া) গ্রামের রুহুল আমিনের সাথে একই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদের ছেলে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি রুবেল ও তার পরিবারের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২০ অক্টোবর’২০২৩ সন্ধায় রুহুল আমিনের ছেলে শেখ আবু রায়হান (২৮) গেন্ডা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। জনৈক বাবলুর রাইস মিলের উত্তর পাশে পৌঁছামাত্র বিবাদীরা পরিকল্পিত ভাবে হাতে লাঠি সোটা, দা, লোহার রড ও পশু কুড়াল নিয়ে বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে শেখ আবু রায়হানের উপর রুবেল পশু কুড়াল নিয়ে হামলা করে এবং অন্যান্যরা বেধড়ক ভাবে মারপিট করে। এতে শেখ আবু রায়হান গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। শেখ আবু রায়হানকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দিনাজপুর এম, আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
দিনাজপুর নেওয়ার পথে শেখ আবু রায়হানের অবস্থা আরো গুরুত্বর হলে তাকে বিমান যোগে সৈয়দপুর থেকে ঢাকায় নিয়ে আকটি বে-সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শেখ আবু রায়হান মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
এঘটনায় একই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে রুবেল, গফুর হোসেনের ছেলে কোহিনুর আলম, মোজাফ্ফরের ছেলে মোস্তা, শাহিদুলের ছেলে মুক্তার হোসেন, আঃ রাজ্জাকের ছেলে শরিফুল, শাহিদুলের ছেলে জীবন ও দরবার আলী ছেলে আব্দুর রশিদের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের নামে থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৭।
মামলার বাদি শেখ আবু রায়হানের পিতা রুহুল আমিন আসামীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশিদ জানান, এঘটনায় আব্দুর রশিদ নামে একজনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।