মোজাম্মেল হক নিজস্ব প্রতিবেদক :
দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের একজন মাঝারী কৃষক আবু তাহের। কৃষিতে সবজী চাষ করে কয়েক বছর ধরে ন্যা্য্য বাজার মূল্যের অভাবে ঋনে জোরজরিত ছিলো আবু তাহের। সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ গোলাম মোস্তফার সার্বিক পরামর্শে অনুপ্রানীত হয়ে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে ১০ শতক একটি মাল্টা বাগান স্থাপন করেন। কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে এক বছর পরেই মাল্টা চাষে সবজির চেয়ে বহুগুন লাভ করা সম্ভব সেটি বুঝতে পারেন। তাছাড়া সবজির মতো বাজার মুল্য নিয়েও কোন চিন্তা করার দরকার নেই। পরবর্তীতে তিনি ব্যাংক হতে ঋন করে নিজের ৪.৮৫ হেক্টর জমিতে মাল্টা ও সাথী ফসল হিসেবে পেয়ারার বাগান স্থাপন করেন। বিগত চার বছর ধরে মাল্টা চাষাবাদের মাধ্যমে সমস্ত ব্যাংক ঋন পরিশোধের পরেও সে এখন আর্থিক ভাবে অনেক উন্নতি করেছে বলে জানিয়েছেন। এবছর ৩১,৫০,০০০/- টাকার মাল্টা এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছেন। সাথী ফসল হিসেবে পেয়ারা বিক্রি করে চালিয়েছেন মাল্টার পরিচর্যা খরচ। তাছাড়া বস্তায় আদা লাগিয়ে মা্ল্টা বাগানের ফাঁকে ফাঁকে বাড়তি আয়ের পরামর্শ টিও পেয়েছিলেন উপসহকারী কৃষি অফিসার জনাব মোঃ গোলাম মোস্তফার কাছ থেকে। পরীক্ষামূলক ভাবে আদা লাগিয়ে সেখান থেকেও প্রায় ২,০০০০০/- টাকার আদা বিক্রির আশা রয়েছে। তাকে সার্বিক পরামর্শের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বি করে তুলার জন্য কৃষি বিভাগের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।