লিটন আকাশ, স্টাফ রিপোর্টার ॥
দায়িত্ব ও কর্তব্যেও প্রতি অবহেলা, দেরী কওে কার্যালয়ে আসা,বোর্ডের চেয়ারম্যানকে জড়িতে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ কওে সংবাদ প্রকাশ করা, চেয়ারম্যান কে অনৈতিক চাপ প্রদান, বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে গিয়ে সহকর্মীদেও মারধোর সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডেও পরীক্ষা শাখার সেকশন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলামকে বহিস্কার করা হয়েছে। গত ২৮ মে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডেও সচিব প্রফেসর মো: জহির উদ্দিন স্বাক্ষরিত চিঠি দিয়ে তাকে বহিস্কার করা হয়। বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের অনুমতির তোয়াক্কা না করেই ১৮/০৯/২০১৩ থেকে ২৪/০৯/২০১৩ পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। একই ভাবে ০৩/০৬/২০১৪ থেকে ০৫/০৬/২০১৪ পর্যন্ত এবং ১৭/১২/২০১৭ থেকে ৩০/১২/২০১৭ পর্যন্ত একই ধরনের অপরাধ করেন। কর্মস্থলে প্রায় দেরীতে উপস্থিত এবং কর্তৃপক্ষ কে না জানিয়ে ই অফিস চলাকালীন সময়ে অফিস ত্যাগ করেন। ০২/০৬/২০১৪ তারিখে বোর্ডের হিসাব রক্ষক নাসিমুজ্জামানকে শারিরীক ভাবে লাঞ্ছিত করেন। ০৬/১২/২০১৫ তারিখে অনুমতি ছাড়াই চেয়ারম্যানের দপ্তরে প্রবেশ কওে অবৈধভাবে পদোন্নতি দানের জন্য চেয়ারম্যান কে অনৈতিক চাপ প্রদান তথ্যা ব্লাক মেইল করার অপচেষ্টা করেন। ২০২২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র সমূহ প্যাকেট-ট্যাংকজাত করন কাজ চলার সময়ে অতিরিক্ত ১০ দিনের পারিশ্রমিক দেয়ার হুমকী প্রদান করেন। ২০১৭ সালে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে গিয়ে বোর্ডেও নিম্নমান সহকারী মনসুরুল আলম প্রধান, উচ্চমান সহকারী হরুন অর রশিদ, উচ্চমান সহকারী কামরুজ্জামানসহ আরো অনেক কে মারধোর করেন। প্রচলিত চাকুরী বিধির তোয়াক্কা না করেই বোর্ডেও কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করে অসত্য, বিভ্রান্তিমূলক, অবমাননা কর এবং বিব্রতকর বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সরকারী/বেসরকারী দপ্তরে প্রচার/প্রকাশ/প্রেরন করেন। গত ০৩/০৫/২০২৩ তারিখে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় বোর্ডের চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে সম্পূর্ণ অসত্য, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং অবমাননা কর সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ওই পত্রিকার বার্তা সম্পাদক লিখিত ভাবে জবানবন্দী দেন যে এই সংবাদ তিনি রিয়াজুল ইসলাম পাঠিয়েছেন। পরে ২১/০৫/২০২৩ তারিখের সংখ্যায় পত্রিকাটিতে ওই সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে বার্তা সম্পাদক দু:খ প্রকাশ করেন। উপরোক্ত সরকারী কর্মচারী চাকুরী বিধি পরিপন্থী সকল অপকর্মের পর কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শালে এই ধরনের চাকুরী পরিপন্থী কার্যক্রম আর হবে না মর্মে অঙ্গীকার কওে ক্ষমা প্রর্থনা করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কে বিভ্রান্ত করার আচরন ও কর্মকান্ড পরিবর্তনের কোন লক্ষন দেখা যায় না।এমতাবস্থায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর ৯ ধারায় বর্ণিত ব্যতিক্রমে যথাযথ কর্তৃপক্ষ এই মর্মে সন্তুষ্ট হয়েছেন যে, আপনাকে পুনরায় কারণ দর্শাই বার সুযোগপ্রদান যুক্তিযুক্ত ভাবে বাস্তব সম্মত নয়। তাই বিজ্ঞ আইন উপদেষ্টার মতামত ও সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ধারা ৯ মতে আপনাকে এই মুহুর্ত হতে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হলো।
কথা হলে রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই বহিস্কার করা হয়েছে। যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার বিষয়ে আমার সংশ্লিষ্টতা নাই।
কথা হলে দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুল ইসলাম বলেন,বিজ্ঞ আইন উপদেষ্টার মতামত ও বিধি মেনেই তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।