বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের মাহাতাবপুর গ্রামের (সরকারী খাস) মিঠাপুকুর পাড়ের ২০-২৫টি গাছ একটি সংঘবদ্ধ চক্র এক সপ্তাহ পূর্বে রাতের অন্ধকারে চুরি করে কেটে নিয়ে যায় ।
বরেন্দ্র বহুমুখীর প্রকল্পের আওতায় লাগানো গাছগুলির মধ্যে ২০-২৫টি গাছ একটি সংঘবদ্ধ চক্র এক সপ্তাহ পূর্বে রাতের অন্ধকারে চুরি করে কেটে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। বর্তমানে কেটে নেওয়া গাছগুলির শিকড় ও গাছের গোড়া গুলি সেখানে চিহ্নিত অবস্থায় রয়েছে। এমতাবস্থায় এভাবে রাতের অন্ধকারে যদি সমস্ত গাছগুলি কেটে নিয়ে যায় তাহলে সরকার তার লভ্যাংশ পাওনা থেকে বঞ্চিত হবে। এব্যাপারে মাহাতাবপুর গ্রামের আলহাজ্ব সোলেমান সরকার জানান, বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্পের সাথে চুক্তিবদ্ধ ২০ বছর মেয়াদে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে শেষ হবে। কিন্তু একটি চক্র রাতের আঁধারে সরকারি গাছ কর্তন করবে এটা কখনো ভাবতে পারিনি। গাছগুলি র¶া ও সংঘবদ্ধ চক্রটিকে তদন্ত করে চিহ্নিত করে আইনানুক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করার আকুল আবেদন জানান।
প্রদক্ষদর্শী তোফাজ্জল সরকার ও দুলাল সরকার জানান,গত এক মাসের ব্যবধানে তিন দফায় মাহাতাপুর গ্রামের ইছাহাক সরকারের ছেলে মো.মাহাতাব হোসেন বুলেট (৪৬) ও একই এলাকার মৃত,আছিম উদ্দিনের ছেলে মো.মশিউর রহমান (৪০) মিলে সংবদ্ধ হয়ে রাতের আঁধারে গাছগুলো কর্তন করেন। বিষয়টি বরেন্দ্র বহুমুখী সহকারী প্রকৌশলী নুরুজ্জামান কে বেশ কয়েকবার মৌখিকভাবে অভিযোগ করেও তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। বরেন্দ্র আওতাভূক্ত ৬৫ নং গভীর ডিপটিওয়েলটির পরিচালক মাবুদ ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন,গাছ চুরির বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি।
সরেজমিনে ২৫টি গাছ কেটে ফেলার সত্যতা নিশ্চিত করে মরিচা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নঈমুল আহসান বলেন, আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর প্রতিবেদন পাঠাচ্ছি। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রেহেনা ও বিএমডিএ এর বীরগঞ্জ জোনের সহকারী প্রকৌশলী রঞ্জন কুমার জানান, সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করা অপরাধ। আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। বিষয়টি তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে যাথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বীরগঞ্জ থানার ওসি সুব্রত কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,গাছ চুরির ঘটনায় মরিচা ইউনিয়নের সহকারী (ভূমি)কর্মকর্তা মইনুল আহসান বাদী হয়ে বীরগঞ্জ থানার মামলা দায়ের করেছেন। যাহার মামলা নং-১০, তারিখ -১১/৫/২০২৩ইং। এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাজেকুল ইসলাম জানান,বিষয়টি তদন্ত করে সঠিক অপরাধীদের বিরুদ্ধে যাথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।