ঘোড়ারঘাট প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে থানা পুলিশের একজন সদস্য ও দু’জন শিশু সহ নতুন করে আরো ৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে এই উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৫ জনে।
নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগীরা হলো, ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের কনস্টেবল আব্দুল খালেক (৪২), তার স্ত্রী শিরিন বেগম (৩০) এবং তার দুই সন্তান লাবিবা (৭) ও সাজিদ (৪)। অপর একজন হলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ফার্মাসিষ্ট শাহ নেওয়াজ (২৯)।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত এই উপজেলায় ৫১০ জন সন্দেহভাজন রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে গত রবিবার ৫ জন, মঙ্গলবার ২জন এবং সর্বশেষ আজ বৃহঃপতিবার ৫জন সহ মোট ৫৫জন সন্দেহভাজন রোগীর করোনা ভাইরাস পজেটিভ এসেছে। বাকি ৪৫৫ জন সন্দেহভাজন রোগী করোনা ভাইরাস নেগেটিভ। গত এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই উপজেলায় ঢাকা ফেরত একজন গামেন্টর্স কর্মীর শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।
আক্রান্তদের বড় একটি অংশ পুলিশ সদস্য। মোট আক্রান্ত ৫৫ জনের মধ্যে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম ও উপ-পরিদর্শক মোজাফ্ফর সহ থানা পুলিশের ৩ জন কনস্টেবল। তাদের মধ্যে উপ-পরিদর্শক মোজাফ্ফর সম্পূর্ণ সুস্থ এবং ওসি আমিরুল ইসলাম সহ বাকি ৩ জন কনস্টেবল হোম আইসোলেশনে রয়েছে।
এ দিকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৯০ শতাংশ রোগী সুস্থতা লাভ করেছে। মোট আক্রান্ত ৫৫ জনের মধ্যে ৪৫ জন রোগী আইসোলেশনে থেকে এখন পুরোপুরি সুস্থ। এখন পর্যন্ত এই উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর তালিকায় নাম লেখিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক শাকিলা পারভীনের স্বামী ও ঘোড়াঘাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আল ইমরান রতন।
আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদেরকে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগীতা প্রদান করছি। তাদেরকে কালোজিরা, মধু, পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফলমুল ও গরম পানির জন্য ফ্লাক্স দিয়েছি। পাশাপাশি সার্বক্ষণিক তাদের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের ভিতর যাদের অবস্থা আশংকা জনক তাদেরকে রংপুর ডেডিকেটেড মেডিকেলে চিকিৎসা সেবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সাথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও করোনার হাত থেকে সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে থানা গুলোতে ছোট ছোট দল করে ডিউটি করানো হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নুর নেওয়াজ আহম্মেদ বলেন, আক্রান্তদের বড় একটি অংশ হোম আইসোলেশনে থেকে সুস্থতা লাভ করেছে। আমরা নিয়মিত করোনা আক্রান্ত রোগীদের খোঁজখবর রাখছি এবং স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ে তাদেরকে সহযোগীতা চালিয়ে চাচ্ছি। আশা করছি বাকি রোগীরাও অতিদ্রুত সুস্থতা লাভ করবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে আইসোলেশনে থাকলে করোনাকে জয় করা সম্ভব। তা আমাদের উপজেলার ৪৫ জন সুস্থ হওয়া করোনা রোগীরা প্রমান করেছে।