বিকাশ ঘোষ, বীরগঞ্জ(দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বীরগঞ্জে শীতকালীন পিঠা বিক্রি করে সচ্ছলতায় বাছিরণ বেওয়া। ‘পরিশ্রমে ধন আনে সুখ, অলসতায় দারিদ্রতা, পাশে আনে দু:খ।’ এমন মন্ত্র কে সামনে রেখে বীরগঞ্জ উপজেলার বীরগঞ্জ পৌরসভার স্বামী হারা বিধবা বাছিরণ বেওয়া শীতকালীন ভাপা ও চিতাই পিঠা বিক্রি করে দুঃখ জয় করা উজ্জ্বল দৃষ্টি স্থাপন করেছেন। স্বামীর মৃত্যুর পর সংসারে যখন নুন আনতে পানতা ফুরাতো। অসুস্থ বাবাকে পাশে নিয়ে বীরগঞ্জ পৌরশহরের তাজমহল সিনেমাহলে সামনে পাকা রাস্তার পাশে কোনোমতে একটু বসার জায়গায় করে নিয়ে শীতকালীন ভাপা ও চিতাই পিঠা বিক্রি করচ্ছেন বাছিরণ বেওয়া। আগে কাজ না পেয়ে একবেলা খেয়ে এবং আরেকবার খেয়ে চলতো সংসার। এখন শীতকালীন পিঠা বিক্রি করে সচ্ছলতা তিনি। বাছিরণ বেওয়ার মাথায় আসে বসে না থেকে পিঠা তৈরি করে বিক্রি করে সংসারে সে সহায়তা করতে পারে। যেই কথা সেই কাজ। সে এনজি থেকে ঋণ নিয়ে শুরু হয় ভাপা পিঠা তৈরির কাজ। শুরুর দিন পিঠা কম বিক্রি হলেও প্রচার হওয়ার পর ১৫০ থেকে ২০০ টাকার পিঠা বিক্রি করা হয় তার। উপজেলার পাল্টাপুর ইউনিয়নের ভোগডোমা গ্রামে বাছিরণের বাড়ী। প্রতিদিন বিকালে ভাপা ও চিতাই পিঠার গ্রহকের ডাকে তার দোকান শুরু হয়। বৃদ্ধ পিতাকে সাথে নিয়ে বিকেল ৪টা থেকে মধ্যে রাত পর্যন্ত ২০০ থেকে ৩০০ টাকার পিঠা বিক্রি করে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা আয় হয় তার। তিনি জানান, এখন কাজ না পেলেও তাদের উপাস থাকতে হয় না। হাত গুটি মানুষের মুখ পানে চেয়ে না থেকে একটু পরিশ্রম করলে সুখের দেখা মেলে দুমুঠা ডাল ভাত পাওয়া যায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাছিরণ বেওয়া। অন্যদিকে স্লুইসগেট মোড়ের মৌসুমি পিঠা বিক্রেতা জামেরুল খাতুন ও রহিমা বেগম জানান, এখন শীতকালীন সময়ে পিঠা বিক্রি জমে উঠেছে। নারীরা ঘরে বসে না থেকে ইচ্ছা করলেই কোনো না কোনোভাবে সংসারে আয়ের রাস্তা বের করতে পারে বলে মনে করেন তারা।