মোঃ মাহাবুব আলম, ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈল প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও রানীশংকৈলে টাকার অভাবে ৩৯ বছর ধরে প্রতিবন্ধী ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন ৫ নং বাচোর ইউনিয়নের ভাংবাড়ি গ্রামের আফাজুল ইসলাম। জানা যায় ভাংবাড়ী গ্রামের নসরত আলীর পুত্র আফাজুল ইসলাম দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক প্রতিবন্ধী ,বাবার মৃত্যুর পর তার সেই প্রতিবন্ধী সন্তান দেখাশোনা করেন তার বিধবা মা মকলেসা বেগম । অভাব-অনটনের সংসার তার নিত্যদিনের বিধবা মা তার প্রতিবন্ধী সন্তান কে নিয়ে প্রতিনিয়ত চালাচ্ছেন তার সংসার । শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও বিধবা মা আফাজুল কে নিয়ে ভিক্ষা করে চালাচ্ছেন তার সংসার । ক্ষুদ্র একটি মাটির ঘরে তার বসবাস । সেখানে নেই তেমন উচ্চবিলাসী খাট পালঙ্ক আছে শুধু একটি ছেঁড়া পার্টি একটি ছেঁড়া কাঁথা এতেই তার জীবন চলছে হরহামেশাই ,শীত বর্ষা গ্রীস্মে থেমে নেই তার জীবন মাটির উপর পাতানোর বিছানায় পার করছেন অসহায় মানসিক প্রতিবন্ধী আফাজুল ও তার মা মকলেসা বেগম।
প্রতিবন্ধী আফাজুল এর মা মকলেসা বলেন আমার তিন সন্তান দুই সন্তান অন্য এলাকায় থাকে আমার এক সন্তান পাগল ও প্রতিবন্ধী আমি কি করে আমার এই সন্তানকে রেখে চলে যাই সেই সন্তানদের বাসায় । এদিকে অভাব আর দারিদ্রতা যেন কোনোভাবেই ছাড় দিচ্ছে না মকলেসা বেগম কে । প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য চেয়ারম্যানের দারে ঘুরলেও পাইনি তেমন সাড়া , এদিকে স্থানীয় সাংবাদিকদ সুজনের সহযোগিতায় রানীশংকৈল সমাজ কল্যাণ অফিস থেকে একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করেন আফাজুলের মা মকলেসা বেগম তবে এখন পর্যন্ত পাইনি কোন প্রকার প্রতিবন্ধী ভাতা । প্রতিবন্ধী আফাজুল এর মা বলেন স্থানীয় নেতাদের কাছে ভাতার কার্ড করার জন্য বললাম কিন্তু সবাই তারা টাকা চায় টাকা ছাড়া নাকি কার্ড হয় না আমার কাছে ৫০০০ টাকা চায় আমি কোথায় টাকা পাবো আমি গরীব অসহায় মানুষ “তাই আমার টাকাও নাই কার্ড ও নাই” । তিনি আরো বলেন আমি একটি সোলার প্যানেল চেয়েছিলাম পেলাম না প্রতিবন্ধী ছেলেটির জন্য ভাতা চাইলাম সেটাও পেলাম না সরকার আমাদের কিছুই দেয় না । স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে কুঁড়ে ঘরে বসবাস করছেন সেই কুড়ে ঘরের জমিটাও অন্যজনের ভিটেমাটি শূন্যহীন মানবেতর জীবনযাপন করছেন আফাজুল ও তার মা মকলেসা বেগম। সরকারের উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী আফাজুল এর মা মকলেসা বেগম ।