দয়ারাম চন্দ্র রায়,ষ্টাফ রিপোর্টার: দিনাজপুর টেক্সটাইল মিলস্ আজ বন্ধ হয়ে যাওয়া ২০ বছর হয়ে গেলেও শ্রমিক/কর্মচারী গনের বকেয়া পাওনাদি পরিশোধ করা হয়নি। এই পাওনার আশায় থেকে অনেকে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু বরন করেছেন। ছেলে-মেয়েদের ভাল লেখা পাড়া করাতে পারেনি। আর যারা কর্ম হারিয়ে বেঁচে আছেন অধিকাংশ বিপদ গ্রস্থ অবস্থায় রয়েছেন।
২০ আগষ্ট সকাল ১১ টার বকেয়া পাওনা আদায় কমিটির কয়েক জন সদস্য দিনাজপুর টেক্সটাইল মিলস্ লিঃ প্রধান নির্বাহী এমদাদুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন দপ্তর সহায়ক রাশেদুল ইসলাম, অফিস সহকারী, রিয়াজুল ইসলাম। শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মিলের সি বি বি র’ সাবেক সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক সাঃ সম্পাদক আঃ সালাম, আরও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দয়ারাম রায়, হামিদুর রহমান, সুবাশ কুন্ড, মোশারফ হোসেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এম,পি বকেয়া পাওনা আবেদন পত্রের উপর সুপারিশ কৃতঃ আবেদন পত্র মিল নির্বাহীর হাতে জমা দেন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। শ্রমিক নেতৃবৃন্দ জানান, মজুরী কাঠামো ২০০০ ইং সালের গ্রাইচ্যুটি ও ২০০৫ ইং সালের চিকিৎসা ভাতা পাওনাদি সহ আরো বকেয়া পাওনা মিল কর্তৃপক্ষের নিকট পাওনা রহিয়াছে। শ্রমিক নেত্রীবৃন্দ মিলের কাজ হারিয়ে শিল্পীয় শ্রমিকরা দৈন্যতার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন, এর পূর্বেও অনেক আবেদন নিবেদন করেও কাজের কাজ হয়নি।
বকেয়া বেতন ও মিল চালুর ব্যাপারে মিল প্রধান নির্বাহী এমদাদুল হককে জিজ্ঞাস করা হলে, তিনি বলেন, একাধিক বার অডিট হয়েছে, আমাদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকার বন্ধ মিল গুলো চালু করছেন, ইতিমধ্যে বিটিএমসির দুই টি বন্ধ মিল ঢাকার আহম্মেদ বাওয়ানিয়া ও কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলস্ চালু করা হয়েছে। তৃতীয় ধাপে দিনাজপুর টেক্সটাইল মিলটি চালুর অপেক্ষায় রয়েছে। আপনাদের পাওনাদির বিষয় কাগজ পত্রাদি আমরা অতি দ্রুততার সঙ্গে উর্দ্ধতন কৃর্তপক্ষের কাছে প্রেরন করিব। মিলের বাইরে অপেক্ষমান জনগন জানান, মিলটি পুনরায় চালু হোক কর্মব্যস্থতায় ভোরে উঠুক এলাকা এ প্রত্যাশা সরকার প্রধানের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।