আবদুর রহিম আপেল
স্টাফ রিপোর্টার কক্সবাজার জেলা l
কক্সবাজারের উখিয়ার জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন হয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বেলা ১২টার দিকে হলদিয়াপালং ইউনিয়নের রুমখাঁ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রায়হান (২৭) মৃত নুরুল কবিরের ছোট ছেলে।
নিহত পরিবারের সূত্রে জানা যায় শনিবার সকালে বড় ভাইয়ের সাথে ছোট ভাইয়ের জায়গার কাগজ পত্র নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বড় ভাই রিপন( ৪২) অচমকা কিরিচ দা নিয়ে ছুটে এসে ছোট ভাই রায়হানকে (২৭) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জকম করে।
অত্র এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন (৬৫) আমাকে জানাই খুনি মোরশেদ কবির তার বাবা মা কে খুন করেছে এবং বাবা মা খুন করার পরে তার ছোট ভাই ও তার হাতে খুন হয়।
স্ত্রীর সাক্ষাতকার।। ওনার কথায় তার নিজ বাবা মা ও তার হাতে হত্যার শিকার হয়েছেন।এবং ওর ফাঁসি চেয়েছেন।ওদের আগে হত্যাকারির এসব কিছু পূর্ব পরিকল্পিত ছিল বলে জানা গেছে। হত্যাকারি ওর বাকী তিন ভাইয়ের সাথেও সম্পত্তি এবং জায়গা জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল।
সে ক্ষোবের কারণে ছোট ভাই যখন নারিকেল গাছ থেকে একটি নারিকেল পারার ছোট্ট এই ঘটনা কে ইস্যু করে লম্বা ক্রিস নিয়ে নৃশংস ভাবে তাকে কুপ দেয়।সাথে সাথে তার হাত ঝুলানো অবস্থায় অন্যহাতে চেপে ধরে নিজেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন।তখন তার পরনে ছিল একটা গামছা।
যা কুপ পড়ার সাথে সাথে পড়ে যায়।কিন্তু তারপরেও তার নিজেকে রক্ষা করার জন্যে উলঙ্গ অবস্থায় বেচারা দৌরে অন্যত্র চলে গেলে সেখানে ও তাকে ক্রিস দা দিয়ে আরেকটা আঘাত করা হয় তখন তার গর্দান ঝুলে পড়ে। তার চিৎকার পাশের বাসার কয়েকজন বের হয়ে তাকে আটঁকাতে গেলে তাকেও কুপ মারার জন্যে তলোয়ার তুললে আরেকজন তা বাধা দেয় ফলে হত্যাকারির স্ত্রী বের হয়ে তাকে বাচাঁনোর জন্য আহত ব্যাক্তির পেটে ছুরি বসিয়ে দেয়।সাথে সাথে পেটের ভেতরের উচ্ছিষ্ট অংশ বের হয়ে আসে।এবং তার স্ত্রী ও আহত হয়।
প্রত্যক্ষ দর্শিরা তাকে গাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।ততক্ষনে হত্যাকারি তার বাড়ির ভেতর ডুকে পড়ে এবং পর্শিরা বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় ফলে সে ভেতরে আটকা পড়ে।ততক্ষনে চারদিক ছড়িয়ে পড়ায় অনেক ঘটনাস্থলে চলে আসে।তাকে বের করতে চাইলে সে মৃত্যু নিশ্চিত জেনে ভেতর থেকে লক করে দেয়।পরিশেষে পুলিশ কে খবর দেওয়া হলে পুলিশ আসে কিন্তু জনগনের ভয়ে সে বের হয় না ।
এবং পুলিশ ও তাকে বের করতে পারে না।সে পুলিশকে জবান বন্ধি দেয় যে “আপনারা যদি জনগণ কে সরিয়ে দিতে পারেন তবে আমি আত্মসমর্পণ করব”। পুলিশ সেটাই করে জনগন কে সরিয়ে দেয় এবং তাকে ও তার স্ত্রী কে বের করে নিয়ে যায়।কোর্ট বাজারের অর্জিন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তারা তাকে নাখুঁজ করে দেয়।তাই লাশ কে কক্সবাজারের সদর হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করে।পরবর্তিতে তাকে পোস্ট মটামের জন্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।