ষ্টাফরিপোটারঃ
ঈদের দিনে মানুষ বিভিন্ন ভাবে ঈদ আনন্দ উপভোগ করে থাকেন। তেমনিভাবে দুই ভাই ও বন্ধু ভরা নদীতে সাঁতার কেটে আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে তিন জনই পানির নিচে তলিয়ে যায়। দুই জন পানির উপরে উঠতে পারলেও একজন পানির নিচে বালুর গর্তে আটকা পড়ে।
দেরীতে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে,দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের ঝানজিরা গ্রামের সফিউদ্দিনের দুই ছেলে রায়হান (২০) ও রানা (১৭),প্রতিবেশী দবিরুল ইসলামের ছেলে দুলাল (১৯) ঈদের দিন নামাজের পর দুপুর ২ টার সময় তারা তিন জন ঝানজিরা ঘাট আত্রাই ভরা নদীতে সাঁতার কাটার মাধ্যমে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে যায়। হঠাৎ করে তারা পানির নিচে তলিয়ে যায় কিছুক্ষন পর দুলাল ও রানা উপরে উঠতে পারলেও রানার বড় ভাই রায়হান উপরে উঠতে পারে নি। রানারা চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পানিতে নেমে ১ ঘন্টা খোঁজাখুঁজির পর রায়হানের মৃত লাশ উদ্ধার করতে পারে জনতা। এ খবর শুনে নদীর পারে শত শত লোক লাশ দেখতে আসেন এ সময় শত মানুষের অশ্রুর বন্যা বয়ে যায়। ঈদের আনন্দ যেন মাটিতে মিশিয়ে যায়। রায়হান ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরী করে ঈদে বাড়িতে এসেছে তার অকাল মৃত্যু পরিবারে ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসী জানান,ঝানজিরা ঘাটে দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তুলে নদীতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ পানিতে গোসল করতে নামলে প্রাণহানির আশঙ্কা বিদ্যমান তাই অনেকে এ ঘাটে নামেন না। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধে বিভিন্ন প্রশাসনে আবেদন করলেও কাজ হয় নি। অপরদিকে বালু এজারদার কর্তৃক একজন প্রতিনিধিকে লাঞ্চিত ও এলাকাবাসীর উপর মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। ১৫ দিন পূর্বে ড্রেজার মেশিন বন্ধে ও বড় ট্রাক দিয়ে বালু পরিবহনের ফলে রাস্তাঘাট,বাড়িঘর ফাটল হওয়ার প্রতিবাদে ঝানজিরা নদী ঘাটে এলাকাবাসীর উদ্দ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এলাকাবাসী রায়হানের অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যাক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন। #
বার্তা প্রেরক \ দয়ারাম রায়। দশমাইল, দিনাজপুর। মোবাঃ ০১৭১৮৭১১১৬৭,তারিখঃ ০৩-০৮-২০ইং।