বিকাশ ঘোষ বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
বিশ্বব্যাপী নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পর সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরের বীরগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার সব বয়সের মানুষের মাঝে মাথা ন্যাড়া হওয়ার হিড়িক পড়েছে। করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে মাথা ন্যাড়া করা যেন ভাইরাসের মতই ছোয়াছে হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে অবস্থান করতে বলা হয় বাসা-বাড়িতে। এই সুযোগে অনেককেই মাথা ন্যাড়া করতে দেখা গেছে। মাথার চুল ফেলে কেউ নীরবে বাসায় অবস্থান করছেন আবার অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন।
মাথার চুল ঘন হবে বলে কিছু দিন পরপরই অনেকেই চুল ফেলে দেন। এটা বেশ বড় বয়স পর্যন্ত চলে কারও কারও ক্ষেত্রে। যদিও বার বার ন্যাড়া করলেই যে মাথায় ভালো চুল গজাবে এ কথার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। অনেকের মাঝে আবার প্রচলিত আছে, মাথা ন্যাড়া করলে মাথার চুল পড়া কমে যায়।
প্রতিদিন কেউ না কেউ মাথা ন্যাড়া করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি আপলোড করছেন। তারা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এখন সবাইকে বাসা-বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। কতদিন পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তারা স্বাভাবিক কর্মজীবনে ফিরবেন, তার কোন নিশ্চয়তা নেই। এই সুযোগে মাথা ন্যাড়া করে নিচ্ছেন।
সরকারি নির্দেশনায় এখন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো সেলুনগুলোও বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন সেলুনে যেতে না পারায় মাথার চুল বড় হয়ে যাওয়াও এর একটি কারণ হতে পারে।
মনি আক্তার নামে একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ন্যাড়া হওয়াটা একটা হিড়িকে পরিনত হয়েছে। একেক সময় একেকটা হিড়িক পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, আর মানুষও সেটা অনুসরণ করা শুরু করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক সাংবাদিক লিখেছেন, করোনায় জনসমাগম বন্ধে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। অনেক জায়গায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এমন অবস্থায় সেলুন বন্ধ থাকায় কেউ চুল কাটাতে পারছেনা৷ মাথার চুল বড় হয়ে যাওয়ায় সবাই ন্যাড়া হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও কর্মস্থলে যেতে হচ্ছেনা বিধায় গরমে চুল ফেলে দিচ্ছেন অনেকে।
গতকাল একজন মাদ্রাসা শিক্ষক জানান, হোম কোয়ারেন্টাইনে আছি, কাজ নেই। ঘরে বসে থেকে এ সুযোগে ন্যাড়া হওয়া। সঙ্গে আরেকটি কারণ যুক্ত করে বলেন, সেলুন বন্ধ তাই ন্যাড়া হয়ে গেলাম।