বিকাশ ঘোষ,বীরগঞ্জ (দিনাজপুর)প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে হতদরিদ্র লাল বাহাদুর এখনো পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সামগ্রী পায়নি। সারাদিন বীরগঞ্জ পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্রের সাব রেজিস্টার অফিসের সামনে বসে থাকি। কিন্তু আমার মতো রোজগারহীন অসহায় মানুষের প্রতি করো নজর পড়ে না। একটু ত্রাণ সহযোগিতা কি আমি পেতে পারি না? কথাগুলো বলছিলেন লাল বাহাদুর(৬০)। তার বাড়ি উপজেলার সুজালপুর ইউনিয়নের বড় শীতলাই চৌধুরীপাড়া গ্রামের শ্রীবালকের ছেলে। পেশায় একজন মুচি। ৩২ বছর হলো এই পোশায় আছেন তিনি। দীর্ঘ এ পোশায় জীবনে এমন খারাপ সময় তিনি কখনো দেখেনি। তিনি জানান, সব সময় চারপাশে কত রকমের মানুষ ভিড় করতো। জুতো নিয়ে আসতেন পালিশ করা বা মেরামতের জন্য। সারাদিনে কাজ করে ৩থেকে ৫শ ‘ টাকা রোজগার হতো। তা দিয়েই বাজার করে হাসি মুখে বাড়ি ফিরতেন তিনি। কিন্তু সব কিছুই এখন লন্ড ভন্ড করে দিলো প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস। লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বাইরে বের হচ্ছে কম। যারাই বের হচ্ছে, তাঁরা কেবল জরুরি খাদ্যসামগ্রী বা ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। ফলে এমন অবস্থায় মানুষের জুতো মেরামতের সুযোগ নেই। আর এ কারণে অনেকটা বেকার হয়ে পড়েছেন তিনি। লাল বাহাদুর বলপন, খুবই খারাপ অবস্থায় আছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আয় হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০ থেকে ৭০ টাকা। গত ৩২ বছরেও এমন দিন দেখিনি আমি। এমতাবস্থায় জীবন ধারণ করা চরম কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ সরবরাহ করা হচ্ছে। আমার পাশের দোকানিরা দু’ তিনবার করে পেয়েছে। কিন্তু আমি সরকারি বেসরকারি কোন প্রকার ত্রাণ পাইনি। লাল বাহাদুর আরও বলেন, আমি এই খানে দোকান করতে পারছি না। বিভিন্ন সময় প্রশাসনের লোকনজন সমাজিক দূরত্বের কথা বলে আমার দোকানটি বন্ধ রাখতে বলছেন। তাই আমি নিরুপায় হয়ে পড়েছি।