এম এ হাসান,কুমিল্লাঃ
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় ২ সন্তানের জননীর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।এদিকে স্ত্রীর মৃতদেহ বাড়ীতে এনে পলাতক রয়েছেন স্বামী ও শশুরের পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক ৫.৩০ মিনিটের সময় আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজার ইউপি এলাকার ধনুয়াখলা বাজারে প্রবাস ফেরত স্বামী ইউসুফের নিজ বাড়িতে কাকলি আক্তার (২৮) নামের ২ কন্যা সন্তানের জননীর রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় প্রতিবেশী দের দেওয়া তথ্য মতে জানা গেল যে, প্রায় ৮ বছর আগে একই ইউনিয়নের কামাইর বাগ গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে কাকলি আক্তার (২৭) এর সাথে ধনুয়াখলা এলাকার সৌদিআরব প্রবাসী ইউসুফের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ভালই চলছিলো সংসার। বিয়ের ১ বছর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরপর ২য় কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে গত ২১ মাস আগে।২ সন্তান হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় সংসারে জগড়া। কন্যা এরপর থেকেই পরিবারে কলহের শুর হয়।প্রায়শই স্বামী স্ত্রী দুজনের মাঝে জগড়া হতো।গত ১২ দিন আগে সৌদি আরব থেকে ছুটিতে আসে কাকলীর স্বামী। স্বামী বিদেশে থাকা অবস্থাতেই দুজনের মাঝে ঝগড়াঝাটি চলছিলো। স্বামীর অন্য কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করতো কাকলী।বৃহস্পতিবার বিকালে ধনুয়াখলা বাজারের এরশাদ ট্রাভলসের দ্বিতীয় তলার বাসায় চিৎকার চেচামেচি শুনে স্থানীয় প্রতিবেশীরা দৌড়ে গিয়ে স্বামী সহ কয়েকজন ধরাধরি করে কাকলিকে নামিয়ে সিএনজিতে করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই আবার লাশ নিয়ে ফিরে এসে জানায় কাকলী মারা গেছে। খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ছুটে আসে। এরই মাজে কৌশলে স্বামী ইউসুফ সহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা খবর দিলে কোতয়ালী থানাধীন নাজিরা বাজার ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।এ বিষয়ে নাজিরা বাজার ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মাহমুদ হাসান রুবেল এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি তথ্য টি নিশ্চিত করেন, এসময় তিনি বলেন খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে এবং লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বামীর বাড়ির লোকজন কাউকে পাওয়া যায় নি।পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।