বীরগঞ্জ,দিনাজপুর থেকে বিকাশ ঘোষঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় হাতুড়ে চিকিৎসকের অপচিকিৎসা থেকে মুক্তি মিলছে না বীরগঞ্জে জনসাধারণের। বুধবার বীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট- বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে এরকম চিত্র। অন্যদিকে বীরগঞ্জ পৌরশহরের অনেক বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরছে জনসাধারণরা। এসব হাতুড়ে ডাক্তারের কবলে পড়ে অনেকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। বীরগঞ্জ উপজেলার হাট- বাজারগুলোতে এসব হাতুড়ে ডাক্তারা পল্লী চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত লাভ করে আসছে। তাদের প্রশাসনিক নজরদারীতে আনা হচ্ছে না। অনেকে ফার্মেসী খুলে চালিয়ে যাচ্ছে এসব হাতুড়ে ডাক্তারা। আগত রোগিদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ঔষধ প্রদান করার করণে সুস্থ হওয়ার কথা থাকলেও অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে অনেকে। উল্লেখ্য, বীরগঞ্জ পৌর শহরের বীরগঞ্জ -পীরগঞ্জ রোডস্থ স্থানে গড়ে উঠা নুর ল্যাব এন্ড সিটি (ক্লিনিক) নার্সিং হোম এ ডাক্তার বিহীন আয়া দিয়ে বাচ্চা প্রসবকালে নবজাতক শিশুর মৃত্যু হয়। ঐ ঘটনা তদন্তকালে ক্লিনিক মালিক ও সরকারি হাসপাতালের নার্সের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সরকারি ঔষধ পাওয়ার অপরাধে হাসপাতালের নার্স ও ক্লিনিক মালিক আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত।
১১ আগস্ট রবিবার ভোরে পৌর শহরের মাকড়াই গ্রামের রাজা মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগমের প্রসব ব্যথা উঠলে নুর ল্যাব এন্ড সিটি (ক্লিনিক) নার্সিং হোম এ নিয়ে গিয়ে ভর্তি করালে আয়া দিয়ে প্রসবকালে নবজাতক শিশুর মৃত্যু ঘটে।
এ সংবাদ ছড়িয়ে পরলে বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাকিলা পারভিন এবং ওসি তদন্ত বিশ্বনাথ দাস গুপ্ত ক্লিনিকে উপস্থিত হলে সরকারি হাসপাতালের ঔষধ ব্যবহারের ঘটনাটি তাদের নজরে আসলে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যট মোঃ ইয়ামিন হোসেনকে সংবাদ দেয়। নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে পুলিশের ১টি টিম ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে সরকারি হাসপাতালের ঔষধ পায়। তারই সূত্র ধরে ক্লিনিক মালিক পৌর শহরের ফিসারী মোড় এলাকার ও বীরগঞ্জ সাব রেজিস্টার অফিসের ভেন্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: হাফিজের ছেলে ক্লিনিক মালিক নুর আলম এর বাড়িতে অভিযান চালিয়েও বেশ কিছু ঔষধ পাওয় যায়।
এসময় ভ্রাম্যমান আদলতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যট ক্লিনিক মালিক নুর আলম ও তার স্ত্রী বীরগঞ্জ সরকারি হাসপাতালের নার্স ফাহিমা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্যট মোঃ ইয়ামিন হোসেন জানায়, আটক কৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি ঔষধ রাখার অপরাধে ও ক্লিনিকে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় পৃথক মামলা করা হবে। এসময় ক্লিনিকটি সিলগালা করে ভ্রাম্যমান আদালত।