রায়হান কবির চপল,বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বিরামপুরে নিজ ঘরের বৈদ্যতিক ফ্যানের সাথে এক নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে বিরামপুর থানা পুলিশ। শনিবার(০৪ই জুলাই) বিকাল ৫ ঘটিকায় পল্লবী ও থানা রোডের শিবপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহেদ মাষ্টারের ভাড়া দেওয়া বাড়ী থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। বিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত,নাইমা সুলতানা (মৌটুসি) কুড়িগ্রাম সদরের পোটার(চাপরাই) গ্রামের মৃত.আফজাল হোসেনের ছেলে সবুজ আলীর স্ত্রী।
এ বিষয়ে নিহতের স্বামী সবুজ আলী জানান তার স্ত্রী মৌটুসি সকাল বেলা বাবার বাড়ীতে যাবে এই জন্য তার শাশুড়ী (মৌটুসির মা) সাথে মোবাইলে ঝগড়া হয়। এর পর আর সে কিছু জানে না।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বিরামপুর থানার (ওসি) মো.মনিরুজ্জামান বলেন, শনিবার(০৪ই জুলাই) বিকাল ৫ ঘটিকায় পল্লবী ও থানা রোডে শিবপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াহেদ মাষ্টারের ভাড়া দেওয়া বাড়ী থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর ঝুলন্ত লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসি।
পরে,পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসির সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙ্গে লাশ নামিয়ে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে।
ওসি আরও বলেন, ওই নারীর স্বামী ওয়াল্টন ইলেকন্ট্রনিক কোম্পানীর বিরামপুর এলাকার শাখা সেলস কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন। ঘটনার দিন স্বামী তার কর্মস্থালে ছিলেন সেখান থেকে বার বার স্ত্রী মৌটুসির সাথে মোবাইলে যোগায়োগ করতে না পেরে বাড়ীতে এসে দেখে মুল দরজা বন্ধ সেই সাথে অনেরক ডাকাডাকির পর দরজা না খুললে প্রতিবেশীদের সহায়তাই দরজা ভেঙ্গে দেখে তার স্ত্রী নিজ স্বয়ন রুমের বৈদ্যতিক ফ্যানে ঝুলে আছে।এই সময় তার স্বামী ও এলাকাবাসি জানতে পারে নাইমা সুলতানা (মৌটুসি) গলায় ফাঁস দিয়েছে তখন পুলিশে খবর দেয় এবং পুলিশ ও এলাকাবাসীর দ্বারা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের বাবাকে খবর দেওয়া হয়েছে তাদের সাথে কথা বলে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।