মোঃ হাসানূল কবীর, খুলনা ব্যুরো চীফঃ মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে হাইওয়ে পুলিশের সামনেই চলছে মাহিন্দ্র নামক ইঞ্জিন চালিত তিন চাকার গাড়ি। চালকরা বলছেন, যশোর-বেনাপোল সড়কের নাভারণ হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করে তারা গাড়ি চালাচ্ছেন। মাঝেমাঝে এই গাড়িতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রধান সড়কের যাত্রীরা।
নাভারণ হাইওয়ে পুলিশ নাভারণ, ঝিকরগাছা, বেনাপোল ও বাগআঁচড়া পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়ালেও বন্ধ হচ্ছে না মাহিন্দ্র চলাচল। ফলে প্রায়ই ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। সম্প্রতি শার্শার শামলাগাছি, বাগআঁচড়ার সাতমাইল এলাকায় মাহিন্দ্র দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহত হয়েছে কয়েকজন।
সোমবার সরেজমিনে বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদ অফিসের সামনে প্রধান সড়কে দেখা গেছে এখান থেকে নাভারণ এর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে এসব গাড়িগুলো। এখানে প্রধান সড়কের উপর গড়ে তুলেছে তাদের গাড়ির পার্কিং এবং টার্মিনাল। আবার নাভারণ তিন রাস্তার মোড়ে ও বাড়আঁচড়া প্রধান সড়কে দেখা গেছে দুইট গাড়ির পার্কিং এবং অস্থায়ী টার্মিনাল। বেনাপোল নাভারণ ও বাগআঁচড়া এলাকায় রিতিমত খাতা কলম নিয়ে এসব গাড়ির সিরিয়াল দিয়ে যাত্রী উঠাতে দেখা গেছে । ওই সব গাড়ির চালকদের সমন্বয়ে রাখা হয়েছে একজন সিরিয়াল মেইনটেইন করা লোক। ভোর বেলা থেকে চলাচল শুরু হয় এসব তিন চাকার গাড়ি আর শেষ হয় মধ্য রাতে। বেনাপোল বাহাদুরপুর রোডের পাশে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের ইজিবাইক ষ্ট্যান্ডের চালক শাহিন ও জামাল হোসেন বলেন, আগে নাভারণ হাইওয়ে পুলিশ অনেক কম টাকা নিত। এখন প্রতি মাসিক স্লিপে ৪শত করে টাকা নিচ্ছে। দিঘিরপাড় গ্রামের কামাল হোসেন বলেন, আগে নাভারণ হাইওয়ে পুলিশ বেনাপোল ও নাভারণে ৫-৬ শত স্লিপ দিত। এখন তা কমিয়ে একজন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দেড়শত থেকে দুইশত স্লিপ দেয় এইজন্য টাকার পরিমাণ বেশী হলেও ভাড়া বাড়েনি। এতে চালকদের অনেক কষ্ট হয়। অপরদিকে মাহিন্দ্র চালকরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের গাড়ি রোডে পুলিশকে ম্যানেজ করে চালাতে হয়। আপনারা লেখালেখি করলে আমাদের অসুবিধা হবে। এই ব্যাপারে নাভারণ হাইওয়ে পুলিশ এর এসআই টিটুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, চালকরা যে ম্যানেজ করার কথা বলছে এটা মিথ্যা। আমরা হাইওয়েতে মাহিন্দ্র এবং অনান্য থ্রি-হুইলার গাড়ি আটক করছি এবং গাড়িগুলো নাভারণ হাইওয়েতে আছে। নাভারণ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জহিরুল মিয়াকে মোবাইলে সোমবার সকাল ১১.২৫ টার সময় কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে এলাকার সাধারণ সচেতন মহলের অভিযোগ এসব তিনচাকার মাহিন্দ্র ও ইজিবাইক গাড়ী প্রধান সড়ক থেকে উঠায়ে দেওয়া উচিৎ। প্রধান সড়কগুলি সব সময় ব্যস্ত থাকায় এখানে এসব ছোট-খাটো গাড়িতে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকের প্রাণহানি হয়েছে।