বীরগঞ্জ,দিনাজপুর থেকে বিকাশ ঘোষঃ রংপুর পর্যটন মোটেলে বৃহস্পতিবার জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন খুশি খাতুন। নিমন্ত্রণে এসেছিলেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনীতিক,ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি – পেশার মানুষ। এ বিয়ের আয়োজক রংপুর জেলা প্রশাসন। এতিম খুশি খাতুন জানে না বাবা- মা কে। তিনি বেড়ে উঠেছেন রংপুর সমাজসেবা অধিদফতর ও শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (বালিকা)। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানায়,খুশি খাতুন ছোটবেলায় গৃহকর্মী ছিলেন। সেখানে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন তিনি। গৃহকর্তার নির্যাতনে ওই বাসা থেকে পালিয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে থানায় সোপর্দ করেন। ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক রংপুর সমাজসেবা অধিদফতরের সহযোগিতায় তাকে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (বালিকা) রাখা হয়। সেখানে ১৮ বছর পূর্ণ হলে জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদফতরের সহযোগিতায় তাকে কারুপণ্য নামে শতরঞ্জি তৈরি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়া হয়। পরে রংপুর নগরী নিউ সাহেবগঞ্জ এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে মোঃ লিমন মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ের বিষয়টি পাকাপোক্ত করে জেলা প্রশাসন। বরের পোশা রাজমিস্ত্রি। নরদম্পতি অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, তারা একে অপরকে পেয়ে খুশি। জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, মেয়েটি এতিম।তার বাবা – মা নেই। আমরা তার পাশে আছি এমন ধারণা যেন এতিম মেয়েটির হয় : এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের নামে পারিবারিক পেনশনের ব্যবস্থা করা হবে। পর্যটন মোটেলে জাঁকজমক বিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের দুই শতাধিক শিশু নিয়ে আনন্দ করা।