নন্দীগ্রাম বগুড়া প্রতিনিধিঃ—বগুড়ার নন্দীগ্রামে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা বলে ৩য় শ্রেনীর এক শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে মাদ্রাসার দপ্তরি। পরে গ্রামবাসী দপ্তরি আলমগীর হোসেন বাবলু গাইন কে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে। সে মাজগ্রাম গ্রামের মৃত আকর আলী গাইন এর ছেলে।
শনিবার দুপুরে নন্দীগ্রাম উপজেলার ৪নং থালতা মাজগ্রাম ইউনিয়নের মাজগ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তি আলমগীর হোসেন বাবলু গাইন (৪৫) মাজগ্রাম এম এ সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার দপ্তরি হিসেবে কর্মরত।
ঘটনা সূত্রে জানাযায়, শনিবার দুপুরে ওই মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ক্লাশের ফাকে কমিউনিটি ক্লিনিকে ঔসধ নিতে বাবলু গাইন এর বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিল, এ সময় বাবলু তার নাতির জন্ম হওয়ার খবর জানিয়ে শিশুটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে মিষ্টি খেতে দেয়, বাবলুর স্ত্রী ও ছেলের বউসহ সবাই হাসপাতালে থাকায় বাড়ি ফাকা ছিল। এই সুযোগে বাবলু গাইন শিশুটিকে প্রথম দফা ধর্ষণ করে দ্বিতীয় দফা ধর্ষনের জন্য বাড়িতেই আটকে রেখে মাদ্রাসায় যায়, এরপর শিশুটির চিৎকার শুনে গ্রামের লোকজন বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে ধর্ষণের বর্ননা শুনে গ্রামবাসী বাবলু গাইনকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে বাবলু গাইনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। নন্দীগ্রামের কুমিড়া পণ্ডিতপুকুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আজিজুর রহমান বলেন, গণধোলাই এর শিকার ধর্ষক বাবলু গাইনকে পুলিশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে, তার নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে।